সংবাদ শিরোনাম :
নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রতিবাদে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মৌলভীবাজার জেলা জামাতের আমির গ্রেপ্তার শ্রীমঙ্গলে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হত্যা মামলার ২ আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার সিলেট বাস টাার্মিনালে বিশাল জুয়ার আসর নেতৃত্বে রাজন,আল আমিন ও শ্রমিক নেতা সেলিম ছারছীনা দরবার শরীফের পীর সাহেবের ইন্তেকাল, জানাজা বৃহস্পতিবার তরুণদের দক্ষতা ও সম্ভাবনাই আগামীর বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তিঃ এমইউ ভিসি ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক মৌলভীবাজারে ডিবি ও পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৪ অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে ডেসকো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াতে মার্কেট ভাঙল শ্রীমঙ্গল পৌরসভা, নির্মাণ হবে অধুনিক মার্কেট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জন্য যেমন সম্ভাবনা তেমনি চ্যালেঞ্জঃ এমইউ ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক
পুলিশ সুপারের প্রচেষ্টায় সমাজপতিদের বাধা ভেঙে ঘরে ফিরেছে নবদম্পতি

পুলিশ সুপারের প্রচেষ্টায় সমাজপতিদের বাধা ভেঙে ঘরে ফিরেছে নবদম্পতি

প্রতিবেদন,এম.মুসলিম চৌধুরী:

মৌলভীবাজার গ্রাম্য মুরব্বীদের বাধায় ঘর ছাড়া নবদম্পতি জেলা পুলিশের প্রচেষ্টায় ঘরে ফিরেছে। বিয়ে করেও গ্রামের মুরব্বীদের বাধায় বাড়ি ফিরতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিকার ছেয়ে সহযোগিতা চায় নবদম্পতি। এছাড়াও ওই নবদম্পতি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার সাথে দেখা করে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিষয়টি নিম্পত্তি করে পুলিশের একটি টিম গতকাল বুধবার বিকেলে ওই নবদম্পতিকে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। ফিরে নবদম্পতি পলি আক্তার ও ইমন মিয়া বলেন, সমাজপতিদের ভয়ে আমরা আত্মগোপনে ছিলাম। আমরা বাড়ি ফিরেছি। সমাজ আমাদেরকে মেনে নিয়েছে। আমি পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপার কাগাবলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমন মোস্তফা বলেন, নবদম্পতি তাদের বাড়ি ফিরেছেন। গ্রামের সব পক্ষকে নিয়ে মডেল থানায় বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়। সেখানে সবাই একমত হয়েছে, তাদের সংসারে কেউ বাধা দেবেন না। মৌলভীবাজারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, সমাজের সবাই তাদের মেনে নিয়েছেন। বিষয়টির একটি সুন্দর সমাধান হয়েছে। উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবালা ইউনিয়নের উত্তর কাগাবলা গ্রামের ইমন মিয়ার সাথে গত ১৯ মার্চ সাতবাক গ্রামের পলি আক্তারের বিয়ে হয়। ধর্মীয় বিধান মেনে চার লাখ টাকা কাবিন নির্ধারণ করে নিকাহনামা রেজিস্টারের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কথা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় মুরব্বিরা। তাদের দাবি, প্রথা অনুযায়ী মৎস্যজীবী পরিবারের সঙ্গে বাইরের কারো বিয়ে হয় না। গত ২৫ মার্চ পলি আক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্ট করলে বিষয়টি জানাযানি হয়। পরে দম্পতি জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে বিষয়টি সুন্দর নিস্পত্তি হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন :





© All rights reserved © 2021 Holysylhet