সংবাদ শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে ২ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার শ্রীমঙ্গলে যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিনিটার, কুইন্স পার্ক এসোসিয়েশন ও রোটারী ক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় শ্রীমঙ্গলে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যে প্রচারণার প্রতিবাদ দক্ষিণ সুরমা বালুর মাঠে কুখ্যাত জুয়ারী বাছন ও দিলীপের রমরমা জুয়ার ব্যবসা। গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে: এম এ মালিক বকেয়া মজুরির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ন্যাশনাল টি কোম্পানির শ্রমিকরা শ্রীমঙ্গলে ২ নারীসহ ওয়ারেন্টভুক্ত ৩ আসামি গ্রেপ্তার দক্ষিন সুরমায় নজরুলের জুয়ার আস্তানা বন্ধ হচ্ছে না কিছুতেই। গোলাপগঞ্জে মসজিদের ইমাম দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগে প্রথম স্ত্রীর হাতে খুন হলেন। মৌলভীবাজারে পুলিশ ও ডিবির হাতে মাদকসহ আটক ২
দক্ষিণ সুরমায় মানিকের বোর্ড বন্ধ হলও চলছে তাহেরের বোর্ড ঃ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী

দক্ষিণ সুরমায় মানিকের বোর্ড বন্ধ হলও চলছে তাহেরের বোর্ড ঃ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী

 

এ এ রানা::
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন স্পটে প্রকাশ্যে দিবালোকে রমরমা জুয়ার ব্যবসার সংবাদ” হলি সিলেটে” পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর টনক নড়ে পুলিশ প্রশাসনের। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে কদমতলী ফার্ড়ির ইনচার্জ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কীন ব্রিজের নিচে জুয়ারী মানিকের জুয়ার বোর্ড বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে সেখানে তালা ঝুলছে। কিন্তু মানিকের পাশেই বাসার মালিক জুয়ার বোর্ডের পাটনার তাহেরের জুয়ার বোর্ড বহাল তবিয়তে চলছে, এ যেন এক চোর পুলিশ খেলা। লোক মুখে প্রচারিত কতটা সাহস আর ক্ষমতার জোর থাকলে পাশের বোর্ড বন্ধ হলেও বন্ধ হচ্ছেনা তাহেরের জুয়ার বোর্ড।


পুলিশ প্রশাসনের এমন ভূমিকায় সাধারণ মানুষ হতাশ হলেও জুয়ারীরা বেশ খুশি। কারণ মানিকের রাতের বোর্ড বন্ধ হলে কি হবে, জুয়ার বোর্ডের পাটনার দিনে শীলং তীর তাহেরের জোয়ার বোর্ডতো সচল আছেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুয়ারী “হলি সিলেট” কে বলেন সংবাদ প্রকাশ হলে স্থানীয় পুলিশের লাভ।

কিভাবে জানতে চাইলে বলেন, আপনি আমার কথা বুঝেননি বলছি, আপনারা যখন পেপারে লেখেন পুলিশ আইয়া অভিযান দিয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বোর্ড মালিকদের ধরেনা। এরা হচ্ছে পুলিশের সোনার ডিম পাড়া মোড়গ। ধরলেতো ডিম পাড়বেনা। তখন আবার জুয়ার বোর্ড চালাতে হলে স্থানীয় পুলিশের টিকেটের দাম বাড়িয়ে জুয়ার বোর্ড চালাবে। এই বিষয়গুলোতো আর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন জানেননা। নিচে কি হয় না হয়। আমরা অশিক্ষিত মানুষ, তার পরও বলছি, পুলিশ পারেনা এমন কোন কাজ নেই। ইচ্ছা করলে সকল অপরাধ অনিয়ম বন্ধ করতে পারে। সে জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু নজরে আনতে হবে।

শিলং তীর ও জুয়া খেলা তিন তাস নিন্ম এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ ঠেলাচালক, রিক্সাচালক,ভ্যান চালক, সিএনজি চালক, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র, বেকার যুবক, বিভিন্ন কলোনির বিধবা মহিলা এবং তাদের সন্তানেরা রাতারাতি বড়লোক হওয়ার লোভে প্রতিনিয়ত এসব জুয়ায় আকৃষ্ট হয়ে সারাদিনের ইনকাম বাজীধরে দিনশেষে প্রতারিত হয়ে খালি হাতে বাসায় ফেরে। যার ফলে একদিকে যেমন বাসায় অশান্তি, কলহ সৃষ্টি হয়, অন্যদিকে পরিবারের আহার জোগাতে চুরি ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ে এসব জুয়ারীরা। তাই অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ইতিমধ্যে দক্ষিণ সুৱমা জুয়ার বাজার হিসেবে মহানগরীতে পরিচিতি পেয়েছে। কীন ব্রিজের দক্ষিণ পাস মহানগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকার একটি। সেই কীন ব্রিজের নিচে মানিকের নেয়া বাড়া বাসার মালিক জুয়ার বোর্ডের পাটনার তাহের প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শীলং তীর নামক জুয়ার আসর বসিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এসব এ ব্যবসার খবরাখবর জানলেও নিরব ভূমিকা পালন করছে। প্রতিদিন দুই ঘটিকা থেকে শুরু হয়ে জুয়ার আসর,চলে মধ্যরাত গর্যন্ত।

পুলিশের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে জুয়ার বোর্ড থেকে প্রতারিত নিম্ম আয়ের মানুষকে আটক করলেও ও বোর্ড মালিকরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে, ফলে জুয়ার ব্যবসা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

উত্তর সুরমা এবং দক্ষিণ সুরমার মিলন স্থল ক্নীন ব্রিজের আশপাশ যেন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে মাদক, জুয়া,দেহ ব্যবসা, সবই চলে নিয়মিত। এসব অপকর্ম কিভাবে সম্ভব সেই প্রশ্ন স্থানীয়দের। তারা বলেন প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে দিন দিন দক্ষিণ সুরমায় অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এসব জুয়ার ব্যবসার ফাঁকে দেদারছে চলে মদ, গাঁজা, ইয়াবা সেবন ও বিক্রি।
এদিকে তাহের, জামাল,আকাশ গংরা ব্যাটারী মার্কেটের সামনে তিন তাস নামক জুয়া খেলা চালিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় সর্বস্ব। এমন সংবাদ হলি সিলেটে প্রকাশিত হলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ জামাল ও তাহের গংদের ব্যাটারি মার্কেটের সামনা থেকে বিতাড়িত করে। এ চক্র পরবর্তীতে আবারো দক্ষিণ সুরমা মখনের দোকানের পাশে ওয়ান/ টেন নামক জুয়া শুরু করে। সেখানেও একইভাবে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের বিতাড়িত করে। চক্রটি আবারো প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মখনের দোকানের পাশে তিন তাস নামক জুয়া খেলা নিয়মিত শুরু করে। এ খবরটিও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছালে সম্প্রতি এক অভিযানে চার জোয়ারি কে পুলিশ আটক করে কোর্টে চালান করে। সাময়িক তাদের জুয়া বন্ধ হলেও তাহের, জামাল, আকাশ , ভার্থখলার নজরুল, আখতার মানিকের সাথে যৌথ মালিকানায় পাটনার হয়ে কীন ব্রিজের নিচে নিরাপদে চালিয়ে যাচ্ছে শীলং তীর ঝান্ডু মান্ডু, তিন তাস, নাইট তীর শীলং জোয়ার রমরমা ব্যবসা। তাই মানিকের একক বোর্ড বন্ধ হলেও ২য় বোর্ড দিন থেকে রাত পর্যন্ত চলে।

উল্লেখ্য যে, কীন ব্রিজের নিচে জুয়ারি তাহের একদিকে শীলং তীর ঝান্ডু মান্ডু, তিন তাস, নাইট তীর শীলং জোয়ার রমরমা ব্যবসা জুয়ার বোর্ড চালিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছ, অনাদিকে সরকারী জায়গায় ঘর বানিয়ে
অবৈধভাবে ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে আরও দেড় লক্ষ টাকা লুটে-পোটে খাচ্ছে। সেই সাথে সরকারী জমি দখল করে পাকা বাসাবাড়ী বানিয়ে কী্্রন ব্রীজের সীমানা গ্রীল কেটে বাসার রাস্তা তৈরী করে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে
কুখ্যাত জুয়ারী তাহের ও তার সহযোগীরা।

এ ব্যাপারে জোয়ার বোর্ড মালিক তাহেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সএর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি জুয়ার আসর বন্ধ করতে এখনি অভিযান পরিচালনার ব্যবস্থা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :





© All rights reserved © 2021 Holysylhet