গোলাপগঞ্জ থেকে সাংবাদাতা :
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত গোলাপগঞ্জের শহীদদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানিয়েছেন খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ। এসময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শহীদদের কবর জিয়ারতও করা হয়।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১১ টায় উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের শহীদ তাজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত একই ইউনিয়নের অন্য ৫ শহীদের বড়ি যান নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা শহীদদের পরিবারের খোজ খবর নেন এবং মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে মোনাজাত করেন। মোনাজাত শেষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সকলের কবর জিয়ারাত করেন।
এসময় শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের সন্তান চলে গেছে, তাকে আমরা আর ফিরে পাবনা, কিন্তু দেশ স্বাধীন এবং দেশকে সুন্দর রাখতে যাদের ইন্ধনে গোলাপগঞ্জে এতোটি প্রাণ ঝরেছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার আহবান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফিজ মাওলানা আব্দুল আহাদ, সহসভাপতি মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা বুরহানুদ্দীন, সাজিদুর রহমান, সেক্রেটারী আব্দুর রাজ্জাক, বায়তুলমাল সম্পাদক লিটন আহমদ, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ ওলি, সিলেট জেলা যুব মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন, উপজেলা যুব মজলিসের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান শাহনুর, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আহমদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস গোলাপগঞ্জ পৌর সভাপতি সাদিকুর রহমান, দক্ষিণ শাখা সভাপতি এবাদুর রহমান, ফামান আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে গোলাপগঞ্জে ৬ জন এবং সিলেট নগরীতে আরেকজন মারা যান। তাদের মধ্যে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নে ৫ জন, আমুড়া ইউনিয়নে ১ জন ও ফুলবাড়ি ইউনিয়নের একজন রয়েছেন।