থামছেনা হারুন-কাশেমের জুয়ার ব্যবসা
এ এ রানা::
ডিবির অভিযানে জুয়ার আস্তানার ভাঙ্গার ছবি তুলে বিভিন্ন সাংবাদিকদের পাঠিয়েছে। যাতে কোন সাংবাদিক তাহার জুয়ার আস্তানার বিরোদ্ধে সংবাদ প্রকাশ না করেন।
হঠাৎ ডিবি পুলিশের সাড়াশি অভিযানে সিলেটে জুয়ারীদের আস্তানায় বাটার সৃষ্টি হলেও জোয়ার বইছে হারুন-কাশেমের আস্তানায়। স্থানীয় ও ডিবি সুত্রে জানাযায় কিছুদিন যাবৎ সিলেট মহানগর এলাকার সকল জুয়ার আস্তানায় ডিবি পুলিশ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে সকল জুয়ার বোর্ড ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে।
জুয়ারীদের বিরোদ্ধে কিছুদিন যাবৎ লাগাতার বিভন্ন অনলাইন ভার্সন ও জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকায় সিলেট মহানগরীর উত্তর সুরমা ও দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন জুয়ার আস্তানা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েছড়ে বসে মহানগর পুলিশ।
এরপর গত২১জুলাই শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় সিলেট মহানগর পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নির্দেশে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুদ্দোহা পিপিএম এর নেতৃত্বে ওসি তদন্তের সহযোগীতায় নগরীর জিঞ্জিরশাহ্ মাজার সংলগ্ন সাধুরবাজার, কীনব্রিজের নিচ ও চাঁদনীঘাট মাছ বাজার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ১১ জুয়ারীকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে জুয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এর পর থেকে দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন জুয়ার আস্তানায় মহানগর পুলিশের বিশেষ নজরদারী বৃদ্ধি করলে জুয়ারীদের মনোবল ভেঙ্গে যায়। তাই জুয়ারীরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে জুয়ার বোর্ড চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এভাবে ১৫দিন বন্ধ থাকার পর প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আবারও শুরু হয় জুয়ার জমজমাট বেপরোয়া প্রতারণা।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানাযায় ২০২৩ইং সালের নভেম্বর মাসে
উত্তর ও দক্ষিন সুরমার সকল জুয়ার আস্তানায় ডিবি পুলিশের সাড়াশি অভিযান চালিয়ে সকল জুয়ার বোর্ড ভেঙ্গে তছনছ করা হয়েছে, বাদ যায়নি শীর্ষ জুয়ারী হারুন-কাশেমের আস্তানা। তাদের আস্তানা থেকেও অনেক জুয়ারীকে আটক করে থানায় মামলা দিয়ে হস্তান্তরের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ডিবির অভিযানে নীরিহ খেটে খাওয়া সাধারন জুয়ারীরা আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায় শীর্ষ জুয়ারী ও বোর্ড মালিকরা।
দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন জুয়ার আস্তানা ঘুরে দেখা যায়, জুয়ারীদের আনাগোনা নেই বল্লেই চলে।
এ সময় পথচারীদের কাছে জুয়ার আসর সম্পর্কে জানতে চাইলে, তারা এই প্রতিবেদককে বলেন ডিবি পুলিশের অভিযানের পর আর জুয়ার আসর বসেনি, সবাই ভয় পাচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণ সুরমায় সকল জুয়ার আস্তানা বন্ধ হলেও বহাল তবিয়তে জুয়ারী হারুন ও কাশেমের আস্তানা।
গত জুলাই মাসে পুলিশের অভিযানে ১১ জুয়ারী আটকের ঘটনা কে হারুন নিজের আস্তানার নামে ডিবি পুলিশের অভিযান উল্লেখ করে প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছিলো যাতে পুলিশ তাহার আস্তানায় অভিযানে না যায়।
এবারও সে ভিন্নভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছে। তবে এবার পুলিশের সাথে না সাংবাদিকদের সাথে। ডিবির অভিযানে জুয়ার আস্তানার ভাঙ্গার ছবি তুলে বিভিন্ন সাংবাদিকদের পাঠিয়েছেন। যাতে কোন সাংবাদিক তাহার জুয়ার আস্তানার বিরোদ্ধে সংবাদ প্রকাশ না করেন। স্থানীয়রা জানান হারুন ও আবুল কাশেম কদমতলী ফাড়িঁ ও দক্ষিন সুরমা থানাকে ম্যানেজ করেই তাদের ভাঙ্গা আস্তানায় দেদারছে জুয়ার প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। রহিম নামের একজন বলেন পুলিশ ব্যস্ত নির্বাচন ও বিরোধী দলের আন্দোলন দমন নিয়ে আর হারুন- কাশেম এই সুযোগে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারন মানুষের প্রশ্ন সকল জুয়ার আস্তানা বন্ধ অথচ হারুন ও আবুল কাশেমের আস্তানা বন্ধ হয়না, কারণ কি! তাদের খুটির জোর কোথায়?