সংবাদ শিরোনাম :
মৌলভীবাজরে নতুন এসপি এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এর যোগদান শ্রীমঙ্গলে মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে হামলার চেষ্টা শ্রীমঙ্গলে বন্যাদুর্গতের পাশে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন পেশাজীবি চিকিৎসক সমাজ সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত।  দুবাইয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গোলাপগঞ্জের নিজামের মৃ ত্যু শ্রীমঙ্গলে ধান ক্ষেত থেকে বিশাল আকৃতির অজগর উদ্ধার মৌলভীবাজার এসপিকে বিদায়ী সংবর্ধনা জাগরণ প্রবাসী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কমিটি গঠন গোলাপগঞ্জের বাদেপাশায় প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কুলাউড়ায় বন্যার্তদের মাঝে ৪৬ ব্যাটালিয়ন বিজিবির ত্রাণ বিতরণ
হাইব্রিড বাবু পেঁপে চাষে সফল শ্রীমঙ্গলের মফরুছ মিয়া

হাইব্রিড বাবু পেঁপে চাষে সফল শ্রীমঙ্গলের মফরুছ মিয়া

প্রতিবেদক,এম.মুসলিম চৌধুরী:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কামাসিদ গ্রামের মফরুছ মিয়া একজন ব্যবসায়ী। ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক তিনি। মফরুছ মিয়ার বিশ শতাংশ বাড়ির চারপাশে লাল তীর সিড এর হাইব্রিড বাবু পেঁপে চাষ করেছেন। এখন গাছ গুলোতে পেঁপে আসতে শুরু করেছে। তার চাষ করা করা পেঁপে গাছের ফলন দেখে মফরুছ মিয়ার মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
মফরুছের চাষ করা গাছের সংখ্যা ৩৫ টি। তিনি বাড়ির চারপাশে কার্তিক মাসের শেষে পেঁপের গাছগুলো লাগিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই সেই গাছগুলোতে ফল আসা শুরু করেছে। এপর্যন্ত তিনি প্রায় ৪০০ কেজির মত পেঁপে বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি পেপের বাজার দর পেয়েছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পাইকারি। মোট ১০ হাজার ৫০০ টাকার মত পেঁপে বিক্রি করেছেন। এ বিষযয়ে মকরুছ মিয়া জানান, তিনি অনেকটা শখের বসেই বাড়ির আঙিনায় পেঁপে চাষ করেছেন এখন ফলন দেখে উনি অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি আরও জানান, গাছ পরিচর্যায় উনার স্ত্রী ও সন্তানরাও কাজ করে থাকেন। এতে বাড়তি শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। এবং পারিবারিক সবজি ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়তি আয় ও হচ্ছে বেশ ভালো। হাইব্রিড বাবু পেঁপের উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সিড লিমিটেডের এর ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী জানান, বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পেঁপে চাষ অত্যন্ত লাভজনক তিনি অনেকটা শখের বসেই করেছেন, এখন ফল আসার প্রাথমিক পর্যায়ে উৎপাদন দেখে উনি অভিভূত। তিনি আরও জানান, হাইব্রিড বাবু পেঁপের আকর্ষণীয় হলুদ শাঁস এবং ফলের মিষ্টতার পরিমাণ ৮ থেকে ১০ %। প্রতিটি ফলের ওজন দুই থেকে আড়াই কেজি কাঁচা পাকা দুই অবস্থায় হাইব্রিড বাবু পেঁপে বাজারে বিক্রি করে কিছুটা লাভবান হওয়া যায়।
একর প্রতি ফলন ৩০ থেকে ৪০ মেট্রিক টন। লাগানোর ছয় মাস পরেই গাছ থেকে পেঁপে সংগ্রহ করা যায়। তাই বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পেঁপে চাষ অত্যন্ত লাভজনক। মির্জাপুর গ্রামের অনেকেই এখন মকরুছ ভাইয়ের পেঁপের বাগান দেখতে আসেন। আগামীতে এই এলাকাগুলোতে পেঁপে চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন

সংবাদটি শেয়ার করুন :





© All rights reserved © 2021 Holysylhet