এ এ রানা ঃ-
সিলেট দক্ষিণ সুরমা সাধুর বাজার বাঁশপালা মার্কেট সুরমা মহল এলাকায় কবে বন্ধ হবে, জুয়াড়ি কাশেম-জাছমিন চক্রের জুয়াতান্ডব ?
সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানাধীন খোঁজারখলা এলাকার জিঞ্জির শাহের মাজার সংলগ্ন ও খেয়াঘাটে কাশেম ও তার মেয়ে জাছমিনের নেতৃত্বে অবাধে চলছে অবৈধ ভারতীয় ‘শিলং তীর’ নামক জুয়া খেলা ও মাদক ব্যাবসা । বিভিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে এ জুয়া খেলা চালিয়ে আসছে তারা বাবা-মেয়ে। কাশেম ও তার মেয়ে জাছমিন সহ তাদের আরেক সহযোগী তমিজ ওরফে হাতকাটা তমিজ ও জামাল দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনের চোখে আঙ্গুল দিয়ে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জমজমাট জুয়ার আসর। ‘শিলং তীর’ নাইট তীর,তিন তাস, জান্ডুমান্ডু নামীয় জুয়া খেলায় মোবাইলে গুটির টোকেন বিক্রি করে এখন রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ এই জুয়াড়ি চক্র। আর এদিকে তাদের ফাঁদে পরে বিপথগামী হচ্ছেন এলাকার উঠতি বয়সী যুবসমাজ।সাধারণ শ্রমিক, দিন মজুর সহ আশপাশের কলোনীর ছেলে মেয়ে ও নারী পুরুষ।
দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশ্যে এলাকা জুড়ে কাশেম ও জাসমিনের নেতৃত্বে জুয়া খেলা চললেও প্রশাসনের এমন নীরব ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। তাহলে কি এই জুয়াড়ি চক্র স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে চালিয়ে যাচ্ছে এসব জুয়া আর মাদক ব্যাবসা। এমন দুঃসাহস কি করে দেখায় তারা, আর প্রশাসনইবা কি করে। এমন অজানা নানা প্রশ্ন সাধারণ মহলের? লোক দেখানোর ছলে কাশেমের আস্তানায় মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযান হলে অন্যরা দৌড় ঝাপ দিলেও কাশেম ও তার মেয়ে কোনো সময় দৌড়ে পালাতে দেখা যায় না। তাদের এই জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করে ক্রমশই এলাকা জুড়ে বাড়ছে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ অসামাজিক নানান কর্মকান্ড। বর্তমান সরকার মাদক ও জুয়া খেলার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দিলেও এ চক্রের বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণে -না, সহজে মোটা অংকের ঘোষের টাকা হারানোর ভয়ে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা বাস্তবায়নে ব্যার্থ হচ্ছে প্রশাসন । স্থানীয় প্রশাসনের এসব লোক দেখানোর মত নাম মাত্র অভিযান নাটক ছাড়া আর কিছুই না। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর । জুয়াড়ি কাশেম ও তার মেয়ে জাছমিনসহ তাদের আরেক সহযোগী তমিজ ওরফে হাতকাটা তমিজ ও জামালের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে যেনো হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
নিয়মিত চলবে……